যমরাজের পর এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাস্তায় নামলো করোনা ভাইরাস !

1st May 2020 বাঁকুড়া
যমরাজের পর এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাস্তায় নামলো করোনা ভাইরাস !


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  যমরাজের পর এবার করোনা ভাইরাসের দেখা মিললো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। মল্লরাজাদের প্রাচীণ রাজধানী এই শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ালো মারণ ভাইরাস করোনা। কখনো পায়ে হেঁটে, আবারো কখনো স্কুটিতে চড়ে শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াল সহ। আর এই ঘটনা নজরে আসতেই যারা রাস্তায় ছিলেন তারাও দৌড় লাগালেন বাড়ির পথে।

  করোনা সতর্কতায় দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। তৃতীয় পর্যায়ের লক ডাউন ঘোষণার সম্ভাবনার মধ্যেও এক শ্রেণীর 'সবজান্তা' পাবলিক এখনো সতর্ক হননি। এই মুহূর্তে 'গ্রীণ জোনে' থাকা বাঁকুড়া এক শ্রেণীর অসচেতন নাগরীকের জন্য কতো দিন 'গ্রীণ জোনে' থাকবে, সেটাই এখন বিশাল প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে। এই অবস্থায় সেই অবস্থায় এই সব 'অসচেতন' নাগরীককে সচেতন করতে 'করোনা' ভাইরাস সেজে বিষ্ণূপুরের রাস্তায় ঘুরলেন শহরের ১৭ নম্বরের বাসিন্দা, পেশায় হরিনাম সংকীর্তণ দলের সদস্য বাপী দাস। তাঁর এই অভিনব ভাবনায় খুশি শহরবাসীও।

 করোনা রুপী বাপি দাস  বলেন, হরানাম সংকীর্তন দলের সদস্য হওয়ায় বহু মানুষের মৃৎদেহ সৎকারের সময় আমাকে ডাকে।  প্রিয়জনকে হারিয়ে তাদের যন্ত্রণা সামনে থেকে দেখেছি। করোনার আক্রমণে এই দুঃখ যন্ত্রণার ভাগীদার কাওকে যাতে হতে না হয় তাই এই রুপে তিনি মানুষকে সচেতন করছেন বলে জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।